32 C
Agartala
Monday, May 20, 2024
spot_img

চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা চালুর সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার।

চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা চালুর সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার।

প্রতিনিধি অনুপম পাল।

কৈলাসহর প্রতিবেদন।

সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা’ চালুর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। পর্যটনমন্ত্রী শ্রীচৌধুরী চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা (সি.এম.জে.এ.ওয়াই ) চালুর বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানাতে গিয়ে বলেন, চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে রোগীদের নগদহীন, কাগজহীন স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি পরিবার বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা পাবে। পর্যটনমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মোট পরিবারের সাড়ে ৪ লক্ষ পরিবার বর্তমানে আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতাভুক্ত রয়েছেন। অবশিষ্ট ৪ লক্ষ ১৫ হাজার পরিবার আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতাভুক্ত হতে পারেনি। সেই সমস্ত পরিবারের স্বাস্থ্যবীমা পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আদলে চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৩-২৪ বাজেট অধিবেশনে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এরজন্য বাজেটে ৫৯ কোটি টাকার সংস্থানও রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের যে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে তা পুনর্নবীকরনের প্রয়োজন হবেনা। প্রতি বছরের ১ এপ্রিল প্রতিটি যোগ্য পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্নবীকরন করা হবে। পর্যটনমন্ত্রী জানান, শ্রম দপ্তরের অধীন ১০ হাজার নির্মাণ শ্রমিক যারা শ্রম দপ্তরের বিভিন্ন বীমার আওতায় রয়েছেন তারা চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার সদস্য/সদস্যাগণ, বিধায়ক সহ সমস্ত স্তরের সরকারি কর্মচারীরাও এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে পারবেন। তবে সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে গ্রুপ-এ ও বি কর্মচারী যারা মেডিক্যাল রিইমবার্সমেন্ট পাচ্ছেন তা সারেন্ডার করতে হবে এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মচারী যারা বছরে ৬ হাজার টাকা করে মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স পাচ্ছেন তা সারেন্ডার করতে হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারের বার্ষিক ১০৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন মন্ত্রী মন্ত্রিসভার অন্যান্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানাতে গিয়ে বলেন, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের জুনিয়র ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টরের শূণ্যপদে ২২৬ জন লোক নিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। তিনি আরও জানান, শিলচরের ‘কাছার ক্যান্সার হসপিটাল রিসার্চ এন্ড ইনস্টিটিউট’ উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার অধীন হুরুয়াকান্দি মৌজায় ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভা ঐ সংস্থাকে জমি প্রদানের জন্য নীতিগতভাবে সিদ্ধান্তে নিয়েছে বলে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,912FollowersFollow
21,800SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles